শনিবার, ২৫ মে, ২০১৩

প্রাথমিকে আরো সাড়ে ৭ হাজার শিক্ষক নিয়োগ আগামি মাসে প্রকাশ


প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের দুটি পরীক্ষার ফল শিগগিরই প্রকাশিত হবে। প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ শেষে আবারও সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য আগামী মাসে বিজ্ঞপ্তি আসছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষাস্তরে প্রায় ১৫ হাজার সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য গত বছরের ১৫ নভেম্বর বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। এতে সারাদেশ থেকে প্রায় ১০ লাখ ৬৫ হাজার প্রার্থী আবেদন করেন।

এ বছরের ১২ এপ্রিল ৮০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বাকি ২০ নম্বরের মধ্যে ১৫ নম্বর মৌখিক পরীক্ষায় এবং ৫ নম্বর একাডেমিক অর্থাৎ প্রার্থীর এসএসসি ও এইচএসসির ফলাফলের ওপর।

প্রাক-প্রাথমিকের এই প্রার্থীরা এখন লিখিত পরীক্ষার ফলাফলের অপেক্ষায় রয়েছেন। পরে মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে প্রায় আড়াই হাজার পদে দেশের ৬১টি জেলায় (তিন পার্বত্য জেলা বাদে) সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের জন্য গত বছরের ১২ অক্টোবর লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ২০ জানুয়ারি লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে। এতে উত্তীর্ণ ৭ হাজার ২০৯ জন প্রার্থী মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ফলাফলের অপেক্ষায় রয়েছেন।

আগামী এক মাসের মধ্যে সরকারী বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদে মৌখিক ও প্রাক-প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা ফল প্রকাশ হবে বলে  জানান প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের সহকারী পরিচালক শাফায়েত হোসেন।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, এসব পদে দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করে নতুন করে সাড়ে সাত হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে। আগামী জুন-জুলাইয়ের মধ্যেই বিজ্ঞপ্তি আসবে বলে জানিয়েছেন তারা। সরকারের বাকি মেয়াদেই নতুন বিজ্ঞপ্তি পদের বিপরীতে নিয়োগ সম্পন্ন হবে বলে জানা গেছে।

নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের কর্মকর্তা শাফায়েত হোসেন বলেন, নিয়মিতভাবেই এসব শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে।

এদিকে দেশব্যাপী প্রতারক টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দেওয়া হবে বলে প্রতারণার চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এ খবর উড়িয়ে দিয়েছেন।

নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে সম্পন্নের জন্য জেলাওয়ারী তিন সদস্যের একটি করে কমিটি গঠিত রয়েছে। জেলা প্রশাসক (ডিসি) ওই কমিটির প্রধান হলেন। সদস্য রয়েছেন- জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর মনোনীত এক প্রতিনিধি। ওই প্রতিনিধি হবেন সংশ্লিষ্ট জেলার একটি কলেজের অধ্যক্ষ কিংবা স্কুলের প্রধান শিক্ষক।

         মো: সাখাওয়াত হোসেন
                পরিচালক
১০নং কমলপুর ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্র 
           সদর-দিনাজপুর।
        মোবা: ০১৭১৩৭৮৮১৪৯

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন